ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

গাজীপুরে ফের পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

দৈনিক নতুন সংবাদ অক্টোবর ২, ২০২৪, ০৬:১০ পিএম গাজীপুরে ফের পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরে ফের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং পুুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে এ অবরোধ করেন তারা।


বুধবার সকালে মহাসড়কের ভোগরা এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যান চালক ও যাত্রীরা। এদিকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে গাজীপুরে ৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।


গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের এসপি মো. সারোয়ার আলম বলেন, নগরীর ভোগড়া শিল্প এলাকার ইন্টারলিং, টেকনো ফাইভার লিমিটেড, ইউরোমিক ট্যাক্স লিমিটেডসহ গাজীপুরের কয়েকটি এলাকার ৪০টি কারখানা ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অশোক পাল বলেন, ভোগরা বাইপাস এলাকায় ফ্লাইওভারের গোড়ায় সড়ক অবরোধ করার ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দ্ইু পাশে এক ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ ছিল। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে সোয়া ১০টার দিকে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা কাজ করছি। আশপাশের কিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।”


আন্দোলনকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রতি মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখ পযন্ত বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিক নিয়োগ হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে কারখানাগুলোর গেটে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের নোটিশ টানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুরুষ শ্রমিকেরা চাকরির জন্য কারখানার সামনে ভিড় করলেও ‘গোপনে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে’ কর্তৃপক্ষ নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিচ্ছে। তারা বলছে, মালিক পক্ষ পুরুষ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কারখানার অভ্যন্তরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে থাকে। তাই কর্তৃপক্ষ পুরুষ শ্রমিকদেরকে নিয়োগ দিচ্ছে না এবং তাদের অনীহা রয়েছে। আবার অনেক কারখানায় নারী শ্রমিকদেরও ছাঁটাই করা হচ্ছে। তারাও এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।


গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শহিদুল ইসলাম বলছিলেন, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন। শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগে। ###
 

Side banner