বগুড়ার শেরপুরে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল জব্দ করার ঘটনায় বিশেষ করে ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় এসিআই ফুডের মালিকসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মামুন এ কাইয়ুম বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন-এসিআই ফুড লিমিটেডের (রাইস ইউনিট) স্বত্বাধিকারী আরিফ দৌলা (৪৫)। তিনি ঢাকার গুলশান এলাকার বাসিন্দা। এসিআই ফুডের সিনিয়র অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০)। অপর দুজন হলেন শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী শামীমা ইসলাম (৫০) এবং এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক এনামুল হক (৫২)।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রামজীবন ভৌমিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের জোয়ানপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচটি গুদামে প্রায় ১ হাজার ৯২৯ দশমিক ৮৭৫ টন চাল এবং ২ হাজার ৫৮১ দশমিক ৬৩টন ধান অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে। সরকারি হিসাবে এর মূল্য ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৯০ টাকা। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে জেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন। পওে জব্দ করা ধান-চাল উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়।
শেরপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মামুন-এ-কাইয়ুম বলেন, মামলায় অভিযুক্তরা অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ করে দেশে ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে বাজার অস্থিতিশীল ও মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ২৫ডি ধারায় মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি জব্দকৃত ধান-চাল শনিবার (২১ জানুয়ারি) শেরপুর থানার পুলিশ তাদের হেফাজতে নেবেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।###
আপনার মতামত লিখুন :