গৃহকর্মী তানিয়া বেগমকে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু আইনে মামলা দায়ের করেছে। বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির সাত তলার ফ্ল্যাটে তানিয়াকে নির্যাতন করেছিলেন গৃহকর্ত্রী সামিনা আলম এবং তার স্বামী কামরুজ্জাম।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বনানী থানার এস আই আজিজ বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আযম মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ৯৯৯ নম্বরে কল করে এক ব্যক্তি জানান, বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির সাত তলার ফ্ল্যাটে একজনকে নির্যাতন করা হচ্ছে। বাইরে থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ আসছে। এরপর দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পুলিশ দেখতে দেখা পায়, গৃহকর্মী তানিয়ার মুখ স্কচটেপ দিয়ে বাঁধা রয়েছে। মাথার চুল ও ভ্রু ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। শরীরজুড়ে নির্যাতনের অসংখ্য ক্ষত। মারধরে পুরো মুখমণ্ডল ফুলে গেছে।
গৃহকর্মীকে উদ্ধারের পর গৃহকর্ত্রী সামিনা আলমকে আটক করে বনানী থানায় নেওয়া হয়। তবে গৃহকর্ত্রীকে আটক করা হলেও গৃহকর্মীর পক্ষ থেকে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে গত শুক্রবার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী তানিয়া বেগমের ভাই শফিকুর রহমান বলেছিলেন, আমার বোনকে যারা নির্যাতন করেছে তারা প্রভাবশালী। মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন। এছাড়া মামলার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই আমাদের। এ কারণে মামলা করা হয়নি। ###
আপনার মতামত লিখুন :