দিনভর ইসলামী ব্যাংকে সার্ভার বিপর্যয়ের পর সন্ধ্যায় সচল

গতকাল সকাল ১০টায় সাধারণ সময়ের মতো লেনদেন শুরু করার এক ঘণ্টা পরেই সার্ভার ‘বিপর্যয়’ ঘটে বেসরকারি খাতের শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে। সার্ভার ত্রুটিতে ব্যাংকিং লেনদেনের শেষ সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো প্রকার লেনদেন করতে পারেনি ব্যাংকের গ্রাহকরা। এসময় শাখা পর্যায়ের সঙ্গে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এটিএম বুথের সেবাও। নিজস্ব গ্রাহকের পাশাপাশি ভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকরাও কোনো ধরনের চেক দিয়ে লেনদেন করতে পারেননি। সন্ধ্যায় ৬টার কিছু আগে সার্ভার চালু হলে যারা অপেক্ষায় ছিলেন তাদের লেনদেন সম্পন্ন করেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। 
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ শাখায় টাকা উত্তোলন করতে পারেননি কর্পোরেট এক গ্রাহক। শেষ দফায় বেলা দুই টার সময়ে চাইলেও টাকা তুলতে পারেননি ওই গ্রাহক। ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের জানানো হয় ‘সার্ভার ডাউন’ হয়েছে। কয়েকবার সচল হওয়ার সংকেত দিলেও লেনদেন নিস্পত্তি করতে পারেনি।
এভাবেই শেষ হয় ব্যাংকিং সময়। কয়েকজন বড় গ্রাহককে সন্ধ্যার পরও অনেক শাখায় অপেক্ষায় রাখা হয়। বিশেষ করে কর্পোরেট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ‘বড় অঙ্কের’ অর্থ জমা দিতে ব্যাংকের শাখায় ছিলেন। সন্ধ্যা ছয় টার কিছু আগে সার্ভার সচল হলে টাকা জমা নেয়া শুরু করেছে ব্যাংকটি। সন্ধ্যা সাতটার সময়ও শাখার কর্মকর্তারা টাকা জমা নেন। 
এজন্য রাজধানীর শাখাগুলোর ক্যাশ বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে ছুটি দেয়া হয়নি। রাজধানীর একটি শাখার ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে নেটওয়ার্ক পেয়েছে তারা। যাদের জরুরি জমা ও বড় গ্রাহক তারা ব্যাংকেই ছিলেন। 
এ বিষয়ে ব্যাংকটির কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘সার্ভার ডাউন হয়ে গিয়েছিল। বিকেলে তা চালু হয়েছে, এখন লেনদেন করা যাচ্ছে।’’
ব্যাংকটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সার্ভারের সমস্যা যেকোনো সময়েই হতে পারে। এমন যান্ত্রিক ত্রুটি কারো হাতে থাকেনা। সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) যথারীতি লেনদেন করা যাবে। সব এটিএম বুথেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে।’’
বরাবরই আলোচনায় থাকা ব্যাংকটি গত ৫ অগাস্টে সরকার পতনের পর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন ঘটে। এস আলম মুক্ত হয় ইসলামী ব্যাংক। এরপর থেকে ব্যাংকটির শেয়ার দরও বাড়ছে। সবশেষ দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই’তে শীর্ষ দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ। ‘ফ্লোর’ প্রাইসে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। সবশেষ শেয়ারটি হাতবদল হয় ৫৪ টাকা ৩০ পয়সায়।