ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিপদে ইসরায়েলের অর্থনীতি, দুই যুদ্ধের ভারে ধসে পড়ার শঙ্কা

দৈনিক নতুন সংবাদ | নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম বিপদে ইসরায়েলের অর্থনীতি, দুই যুদ্ধের ভারে ধসে পড়ার শঙ্কা

গত বছর হামাস বাহিনী যখন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে, তখন দেশটির উত্তরাঞ্চলে শেলি লোটানের খাদ্যবিষয়ক স্টার্টআপ কোম্পানির যাত্রা কেবল শুরু হয়েছে। হামলা শুরু হলে ইসরায়েল সরকার ওই অঞ্চল থেকে সব নাগরিককে সরিয়ে নেয়।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল সরকার শেলি লোটানের দুই কর্মচারীকে সামরিক বাহিনীতে নিয়ে যায়। যে কর্মচারীদের ডাকা হয়নি, তাঁরা আরেক কর্মচারীর বাবা-মায়ের বাসার ভূগর্ভস্থ কক্ষে সেই স্টার্টআপের কার্যালয় সরিয়ে নেন। এরপর যা হওয়ার তা–ই হয়; বিনিয়োগের প্রবাহ একরকম শুকিয়ে যায়।

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হবে শিগগিরই। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতির লক্ষণ নেই বললেই চলে; এর মধ্যে শুরু হয়েছে লেবাননে হিজবুল্লাহ বাহিনীর ওপর হামলা। এই পরিস্থিতিতে লোটানের ব্যবসা কোনোভাবে টিকে আছে। সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে লোটানের। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক চাপও বাড়ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস বাহিনী ইসরায়েলে হামলা চালালে চলতি যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। ইসরায়েলের অর্থনীতিতে এই যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে খুব একটা আলোচনা হচ্ছে না। এই এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ঋণমান অবনমন হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) সংকুচিত হয়েছে। হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক মানুষের চাকরি গেছে; কোম্পানিগুলো দূরবর্তী জায়গা থেকে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে রিজার্ভ সেনা হিসেবে যাঁরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা সৈনিক জীবনের সঙ্গে মূল ক্যারিয়ারের ভারসাম্য আনতে হিমশিম খাচ্ছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ২ লাখ ৮৭ হাজার নাগরিক রিজার্ভ সেনা হিসেবে যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন। ইসরায়েলের জনসংখ্যা এক কোটির কম। অর্থাৎ দেশটির এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে আছেন। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি কীভাবে চলছে, তা বড় প্রশ্ন।

Side banner