ব্রেকফাস্টে পাতে এমন খাবার রাখতে হবে যা সারাদিনের জ্বালানি সরবরাহ করবে। এবার আমাদের প্রোটিনের চাহিদাও ব্রেকফাস্টে মেটাতে হবে। সেক্ষেত্রে এই ৫ খাবার ভালো বললেন পুষ্টিবিদ।
সকালের খাবারটা খাওয়া আমাদের সকলের জন্য জরুরি। এই সময়টায় শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছে গেলে সারাদিন আর চিন্তা থাকে না। এবার ব্রেকফাস্টে আপনি যদি কিছু প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন তবে শরীর সুস্থ থাকতে পারে। এমনকী বহু অসুখ থাকে দূরে। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখুন।
এবার সকালে আপনি এমন খাবার খান যা শরীরকে সারাদিন কাজ করে যাওয়ার শক্তি দেয়। এবার আপনি যদি ব্রেকফাস্টে কিছু না খান তবে শরীরে দেখা দিতে পারে মারাত্মক কিছু রোগ। তাই প্রাতঃরাশ করতে হবে। এছাড়া সকালের ডায়েট ঠিক থাকলে কমতে পারে ওজনও।
আমাদের খাবার তালিকায় অবশ্যই রাখা প্রয়োজন প্রোটিন। কারণ প্রোটিন হল শরীরের বিল্ডিং ব্লক। পেশি তৈরি থেকে শুরু করে নানা হরমোন, উৎসেচক বানাতে প্রয়োজন হয় এই উপাদান। তাই এর ঘাটতি হলে শরীর খারাপ হতে পারে। তবে ভারতীয়দের ডায়েটে এই উপাদান থাকে খুব কম।
এবার এই প্রসঙ্গে আসানসোল গার্লস কলেজের পুষ্টিবিজ্ঞানের সহকারী অধ্য়াপক পল্লবী মজুমদার বলেন, সকালের খাবার ঠিক রাখা খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে কিছু প্রোটিন তো থাকতেই হবে। এবার এমনই কিছু খাবারের কথা বলা হল যা সকালে খেলে প্রোটিনের ঘাটতি মেটে।
১. ছানা খেতে পারেন
আসলে ছানা অনেকেই খান। ছানায় রয়েছে ভালো পরিমাণে প্রোটিন। এক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম ছানায় থাকে প্রায় ১৪ গ্রাম প্রোটিন। আর এই প্রোটিন খুব সহজে শরীরে গৃহীত হয়। তাই এই খাবারটি সকালে পাতে রাখতেই পারেন। এবার ভালো হয় শুধু শুধু ছানা খেলে। কারণ অনেকে মিষ্টি মিশিয়ে এই খাবার খান। এই কারণে বেড়ে যায় ক্যালোরি। তাই এভাবে খাওয়া যাবে না। বরং শুধু ছানা মুখে তুলে নিন।
২. ডিম খান
পল্লবী মজুমদার বলেন, সকালে ডিম খাওয়া যায় অনায়াসে। এই খাবারটি শরীর সুস্থ রাখার কাজে দারুণ কার্যকরী। এক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম ডিম, অর্থাৎ ২টি ডিমের সাদায় থাকতে পারে প্রায় ১৩ গ্রাম প্রোটিন। এক্ষেত্রে সপ্তাহে প্রতিদিন আপনি সকালে দুটি ডিমের সাদা খেতেই পারেন। এই অভ্যাসে শরীরে সমস্যা হয় না। তবে কুসুম শুদ্ধ খেলে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন খান। আর দিনে একটির বেশি নয়। এই হিসাব মেনে চলুন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।
৩. দুধ খান
পল্লবী মজুমদার বলেন, দুধের মতো সুষম খাদ্য আমাদের হাতের কাছে নেই। এই পানীয় শরীর সুস্থ রাখার কাজে দারুণ কার্যকরী। তাই ছোটবেলায় একটি শিশুকে মতৃদুগ্ধের উপরই রাখা হয়। এক্ষেত্রে দুধের মাধ্যমে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। ১০০ এমএল দুধে থাকে প্রায় ৩ গ্রাম প্রোটিন। অর্থাৎ প্রোটিনের ভালো উৎস হল দুধ। আর খুব সহজেই তা শরীরে গৃহীত হয়। তাই এই পানীয় নিয়মিত খেতেই পারেন।
৪. দই খান
আপনি দই খেতেই পারেন। দইয়ের মতো উপকারী খাবার খুব কম রয়েছে। পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে একবারে ধন্বন্তরি হল দই। এই খাবারে থাকে ভালো পরিমাণে ল্যাকটোব্যাসিলাস। এটা হল প্রোবায়োটিক। এবার এই ভালো ব্যাকটেরিয়া কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। তাই দই আপনাকে রোজ খেতে হবে। এছাড়া দই হল প্রোটিনের উৎস। ১০০ গ্রাম দইতে থাকে ৪ গ্রাম প্রোটিন। তাই নিয়মিত এই খাবার খান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।
৫. সোয়াবিন খেতে পারেন
অবশ্যই সোয়াবিন খেতে পারেন আপনি। এক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মধ্যে সোয়াতে অনেকটা প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রামে থাকে প্রায় ৩৭ গ্রাম। তাই এই খাবারে শরীরের প্রোটিন চাহিদা মিটে যায়। এছাড়া বাদাম খেতে পারেন সকালে। এর মাধ্যমেও মিলতে পারে প্রোটিন। তাই এই খাবার নিয়মিত খান।
দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।###
আপনার মতামত লিখুন :