কাশি হলেই যে কফ উঠবে এমন নয়। শুকনো কাশি হতে পারে। সারাদিন কাশতে কাশতে অস্বস্তি হয়। এবার আপনি কয়েকটি ঘরোয়া টোটকাতেই শুকনো কাশি কমাতে পারেন।
এই ঠান্ডা তো এই গরম। একদিন গায়ে উঠল কম্বল তো পরের দিনই আবার ফ্যান চালাতে হচ্ছে হালকা করে। আর এই অদ্ভুত আবহাওয়ায় বাড়ছে নানা অসুখের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার চেষ্টা করতে হবে। নইলে বহু জটিলতা শরীরে দেখা দিতে পারে। এমনকী হয় শুকনো কাশি। এবার কাফ সিরাপ আর কত খাবেন? বরং ঘরোয়া উপায়েই এই জটিলতা মিটিয়ে ফেলুন।
অনেক সময় মানুষ কাশতে থাকেন বারংবার। তবে সেখানে কফের দেখা থাকে না। এবার এই ধরনের সমস্যাকেই বলা হয় শুকনো কাশি। মুশকিল হল, একবার শুরু হলে এটা চলতেই থাকে। থামার আর নাম নেয় না। খুবই অস্বস্তি হয়। এবার এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
শুকনো কাশি বা খুসখুসে কাশির অনেক কারণ থাকতে পারে। নানা ধরনের অ্যালার্জি, অ্যাজমা, ইনফেকশন, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। দেখা গিয়েছে এই সমস্যা আপনি শুতে গেলেই বাড়ে। এমনকী ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
শুকনো কাশির অনেক ওষুধ আপনি দোকানে পেয়ে যাবেন। তবে এর তুলনায় কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যার সমাধান সহজ সমাধান সম্ভব। এভাবেই সহজে ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা বাড়তে পারে।
আদা চা খান
আপনি আদা চান খেতে পারেন। আইজেবিসিপি-এর একটি গবেষণায় বলা হচ্ছে, আয়ুর্বেদিক ভেজজ হিসাবে অনায়াসে আদা চা খাওয়া যায়। আদা হল দারুণ এক খাবার। এর মধ্যে রয়েছে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টের সমস্যা দূর করে দিতে পারে। এবার আপনি আদা চা বানিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কিছুটা জল নিন প্যানে। এবার আদা থেঁতো করে সেই জলে দিন। তারপর মেশান চা। এবার সেই চা পান করুন। আশা করছি ভালো থাকতে পারবেন।
রসুন খেতে পারেন
আসলে রসুন হল ন্যাচরাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই খাবার বহু গুণে ভরপুর। এবার রসুন রোজকার রোজ খেলে অনেক জটিলতা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সেই তালিকায় বহু ঘাতক অসুখ রয়েছে। এক্ষেত্রে রসুনের সঙ্গে মিশিয়ে নিন দুধ। তারপর তা পান করা শুরু করে দিন। দেখবেন দ্রুত কমছে কাশির সমস্যা। এর মাধ্যমে কমতে পারে শুকনো কাশি। এমনকী গলা ব্যথাও হতে পারে দূর। এবার এই বিষয়টি জেনে রাখা জরুরি।
মধু ও লেবু
আসলে মধু ও লেবু এক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী হতে পারে। দেখা গিয়েছে যে মধুর মধ্যে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে কার্যকরী। এছাড়া লেবুর জলে যদি কিছুটা মধু মেশাতে পারেন তবে সবথেকে ভালো হয়। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে। এছাড়া গলা ব্যথা থেকে শুরু করে কাশির সমস্যা কমাতে পারে মধু। তাই এই খাবার নিয়মিত খান। আশা করছি ভালো থাকবেন।
মুলেঠি খান
অনেকেই মুলেঠি সম্পর্কে জানেন না। এটি উপকারী আয়ুর্বেদিক হার্ব। দারুণ কাজ করে নানা অসুখে। তাই আপনাকে অবশ্যই ভেষজ খেতে হবে। এক্ষেত্রে কিছুটা মুলেঠি আপনি ফুটিয়ে নিন। তারপর ধীরে ধীরে পান করুন। অ্যাজমা, কাশি থেকে শুরু করে গলা ব্যথা কমে যাবে। তাই এই খাবার আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে।
এছাড়া থাইম চা পান করলে ভালো ফল মিলতে পারে। এনআইএইচ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে শুকনো কাশি থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে থাইম। ইউরোপের খুব ব্যবহার হয় এই ভেষজ। এই থাইম চা শুকনো কাশি কমিয়ে দিতে পারে।
দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ###
আপনার মতামত লিখুন :