দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রকাশনা নিয়ে শুনানির দিন পিছিয়েছে প্রেস কাউন্সিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আবার শুনানি হবে।
গত ২৬ ডিসেম্বর সোমবার ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমান পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিলের অফিস আদেশ জারি করেন। এরপেক্ষিতে প্রেস কাউন্সিলে আপীল করে দিনকাল। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) আপীল শুনানি শেষে আবারও শুনানির দিন ধার্য করেন।
ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, দৈনিক দিনকাল পত্রিকাটি বিগত ১৬ এপ্রিল ২০০২ তারিখে নিবন্ধনমূলে ঘোষণাপত্র প্রাপ্ত হয়। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের ১লা অক্টোবর ২০১৯ তারিখের পত্রে পত্রিকাটির প্রকাশক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করায়, ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি ব্যতিত অফিসের ঠিকানা ও ছাপাখানা পরিবর্তন করায় পত্রিকাটি বাতিল করার জন্য এ কার্যালয়কে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অদ্যাবধি উক্ত কারণ দর্শানোর উপযুক্ত জবাব এ কার্যালয়ে দাখিল করেননি। তথাপি পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছেন। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর উক্ত পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক ও ছাপাখানা পরিবর্তন বিষয়ে কোনো প্রমাণক প্রকাশনা অধিদপ্তরকে অবহিত না করায় ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হয়।
এতদপ্রেক্ষিতে পত্রিকার প্রকাশক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করায়, ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায়, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি ব্যতিত অফিসের ঠিকানা ও ছাপাখানা পরিবর্তন করায় ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন আইন ১৯৭৩ এর যথাক্রমে ১০, ১১, ১৬ এবং ২০(১)(খ) ধারা লঙ্ঘন করায় ঘোষণাকৃত বাংলা দৈনিক দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর তারেক রহমানের নামে বিগত ১৬ এপ্রিল ২০০২ তারিখে ৭২/২০০২ নং নিবন্ধনমূলে প্রদানকৃত পত্রিকাটির (ঘোষণাপত্র (ফরম বি) এবং পত্রিকা মুদ্রণের ঘোষণাপত্র বাতিল করা হলো।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার মালিকানা বা স্বত্ব হিসেবে ১২ আগস্ট ১৯৯৮ সালে তিনি দালিলিক মূল্যে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৪ টাকা ১১ পয়সার মালিক, যা ৩০ জানুয়ারি ২০০৬ সালের অডিট প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে।
দৈনিক দিনকাল পত্রিকার মালিকানা স্বত্বের ব্যাপারে আইনজীবী আহমেদ আজম খান বলেন, এই পত্রিকার মালিক বিএনপি। এই দলের পক্ষে একেক সময় একেক জন পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে দায়িত্বে থাকেন। তারেক রহমানের আগে এই পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম। বিএনপি মালিক হওয়ায় অধ্যাপক মাজেদুল ইসলামও তার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নে এই বিষয় উল্লেখ করেননি। অন্য কারও সম্পত্তি কীভাবে একজন তার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করবেন?
আহমেদ আজম খান আরও বলেন, ২০১৬ সালে তারেক রহমান ব্রিটেনে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে আবেদন করেন একজন ব্রিটিশ আইনজীবীর মাধ্যমে। বাংলাদেশে সেটির দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ পক্ষ সেটি এখনো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক অফিসে পাঠাবে, তারপর প্রকাশক পরিবর্তন হবে। এখন প্রকাশক হিসেবে আমি কি আমার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নে সেটি দেখাব? ###
আপনার মতামত লিখুন :